রচয়িতা: কাজী মো. আবুল কাসেম
নিজ কুদরতি হাতে মাটীর ঢেলাতে
দয়াময় বানাল আদম খেলিতে খেলাতে।
বেহেস্তে একা ভেকা হয়ে ঘুরে বেড়ায় আনমনা আদম
কি যেন না থাকায় হল উতলা মন চলেনা কদম।
অন্তরিক্ষে বসে দয়াময় পাইল আদমের মনের খবর
দয়ালু কণ্ঠে ফেরেস্তাদের তলব করিল জবর।
ত্বরা করি কোমল হাতে আদমের বক্ষ কর ছেদন
সাবধান আদম যেন পায় না টের করেনা ক্রন্দন।
কেটে আন বাম পাঁজরের এক টুকরো হাড়
আদমকে দিব আমি এক মহামূল্য উপহার।
মহা কৌঁশলির করুণা হাতে ঐ টুকরো হাড়ে
তৈরী করলেন তিনি আদি মাতা হাওয়ারে।
আদি মাতা পিতার দেহের মাঝার মহা ন্যানো প্রযুক্তির
স্থাপিত হল শুক্রাণু আর ডিম্বানুর এক মহা ভান্ডার।
নারীর জঠরে সেই শুক্রাণু আর ডিম্বানুর ক্রিয়া কান্ডে
দশ মাস দশ দিন পরে আসিছে মানুষ ধরার ধুলিতে।
মাতা ও পিতার মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ আসিতেছে এই ধরাধামে
আল্লাহর ইচ্ছায় এর ব্যাতিক্রমে শুধু মায়ের মাধ্যমে জন্মিল ঈসা নবী।
মাটির ঢেলাতে হইল আদম, পাঁজরের হাড়ে হইল হাওয়া
শুধু মায়ের মাধ্যমে মায়ের জঠরে ঈসা নবীকে গেল পাওয়া।
বাপ আর মায়ের মাধ্যমে আসিলাম মোরা এই কঠিন ধরায়
এই চার ধারায় আসিল মানুষ প্রমান আছে পাক কোরআনের ভাষায়।
প্রকৃতিই করেছে সব অবিশ্বাসীরা বলে কটু যুক্তির তর্কের ছলে
সেই প্রকৃতি বানালো কোন যাদুকর সে বিষয়ে তারা কিছু কভু নাহি বলে।
কবি:নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশী, রচনা কাল-২০১৬ ইং